Agile Data Science এ ডেটার গুণগত মান এবং পরিচ্ছন্নতা (ডেটা ক্লিনিং) নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ উচ্চমানের, বিশুদ্ধ ডেটা সঠিক বিশ্লেষণ ও মডেল তৈরির মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। Agile পদ্ধতিতে প্রতিটি স্প্রিন্ট বা ইন্টারেশনে ডেটার গুণগত মান এবং পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা হয়, যা ধারাবাহিকভাবে প্রজেক্টের মানোন্নয়নে সহায়ক।
Agile Data Science এ ডেটার গুণগত মান নিশ্চিত করা
ডেটার গুণগত মান নিশ্চিত করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু কৌশল ও টেকনিক ব্যবহার করা হয়, যা নিম্নরূপ:
১. ডেটার যথার্থতা (Accuracy)
- অর্থ: ডেটার যথার্থতা বলতে ডেটা কতটা সঠিক এবং নির্ভুল তা বোঝায়। যথার্থতা নিশ্চিত করতে ডেটার সোর্স এবং মূল উৎস পরীক্ষা করা হয়।
- টেকনিক:
- ডেটা সোর্সের বিশ্বস্ততা যাচাই করে নির্ভুল ডেটা সংগ্রহ করা।
- ভুল তথ্য, ডুপ্লিকেট এবং অসম্ভব মান শনাক্ত ও মুছে ফেলা।
- ডেটা সংগ্রহের পরে এর গুণগত মান যাচাই এবং প্রয়োজনীয় অ্যাডজাস্টমেন্ট করা।
২. ডেটার সামঞ্জস্যতা (Consistency)
- অর্থ: ডেটার সামঞ্জস্যতা নিশ্চিত করে যে, একই বৈশিষ্ট্যের জন্য ডেটা বিভিন্ন সোর্স বা ইনপুটে একই রকম থাকে।
- টেকনিক:
- ডেটা সোর্স থেকে সংগ্রহ করার সময় একরূপতা নিশ্চিত করা।
- ডেটার ডুপ্লিকেট মানগুলো সরিয়ে বা ম্যানেজ করে সামঞ্জস্য বজায় রাখা।
- প্রতিটি স্প্রিন্টে ডেটা রিভিউ এবং স্ট্যান্ডার্ডাইজ করা, যাতে ডেটার সামঞ্জস্যতা থাকে।
৩. ডেটার পূর্ণতা (Completeness)
- অর্থ: ডেটা পূর্ণতা বলতে বোঝায়, একটি বৈশিষ্ট্যের জন্য সব তথ্য ডেটাসেটে বিদ্যমান আছে কিনা। অসম্পূর্ণ ডেটা প্রায়ই মডেলিং বা বিশ্লেষণে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
- টেকনিক:
- ডেটাসেটের মিসিং ভ্যালু বিশ্লেষণ করা এবং সেগুলো পূরণ করা।
- মিসিং ভ্যালু থাকলে ডেটার অ্যাভারেজ, মিডিয়ান, বা অন্য কোনো উপযুক্ত ফিলিং টেকনিক প্রয়োগ করা।
- প্রয়োজনীয় ডেটা না থাকলে অতিরিক্ত সোর্স থেকে ডেটা সংগ্রহ করে পূর্ণতা নিশ্চিত করা।
৪. ডেটার প্রাসঙ্গিকতা (Relevance)
- অর্থ: ডেটা প্রাসঙ্গিকতা বলতে বোঝায়, নির্দিষ্ট প্রজেক্ট বা মডেলের জন্য ডেটা কতটা উপযোগী।
- টেকনিক:
- মডেল এবং বিশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় ফিচার বা বৈশিষ্ট্যগুলো নির্বাচন করা।
- অতিরিক্ত বা অপ্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্য অপসারণ করা।
- প্রজেক্টের প্রয়োজন অনুযায়ী ডেটার ফিল্টারিং করা।
৫. ডেটার সময়োপযোগিতা (Timeliness)
- অর্থ: সময়োপযোগিতা নিশ্চিত করে যে, ডেটা সর্বশেষ এবং প্রাসঙ্গিক সময়ের জন্য প্রযোজ্য।
- টেকনিক:
- নির্দিষ্ট সময় অন্তর ডেটা আপডেট করা।
- পুরানো ডেটা বাদ দেওয়া এবং নতুন ডেটা অন্তর্ভুক্ত করা।
- রিয়েল-টাইম বা প্রয়োজনীয় সময়ে API বা স্ক্র্যাপিংয়ের মাধ্যমে ডেটা সংগ্রহ করা।
Agile Data Science এ ডেটা পরিচ্ছন্নতার (Data Cleaning) টেকনিক
Agile Data Science এ ডেটা পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন টেকনিক ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি স্প্রিন্টে ডেটা পরিচ্ছন্নতার কাজ চলমান থাকে, যাতে প্রতিটি ইন্টারেশনে বিশুদ্ধ ডেটা ব্যবহার করা যায়। এখানে কিছু সাধারণ ডেটা ক্লিনিং টেকনিক উল্লেখ করা হলো:
১. মিসিং ভ্যালু ম্যানেজমেন্ট
- অর্থ: ডেটাসেটে মিসিং ভ্যালু বা অনুপস্থিত মান প্রায়শই সমস্যা সৃষ্টি করে। মিসিং ভ্যালু থাকলে মডেল সঠিকভাবে ট্রেনিং নেয় না।
- টেকনিক:
- ফিলিং মিসিং ভ্যালু: মিসিং ভ্যালু পূরণ করতে অ্যাভারেজ, মিডিয়ান, মোড ইত্যাদি ব্যবহার করা যায়।
- মিসিং ভ্যালু বাদ দেওয়া: প্রয়োজনে ডেটাসেট থেকে মিসিং ভ্যালু বিশিষ্ট সারি বা কলাম মুছে ফেলা যায়।
- ফরোয়ার্ড ফিলিং এবং ব্যাকওয়ার্ড ফিলিং: টাইম সিরিজ ডেটাতে মিসিং ভ্যালু পূরণের জন্য পূর্ববর্তী বা পরবর্তী মান ব্যবহার করা যায়।
২. আউটলায়ার ম্যানেজমেন্ট
- অর্থ: আউটলায়ার হলো ডেটার এমন মান যা অন্য মানগুলোর তুলনায় অনেক বেশি বা কম, যা বিশ্লেষণ বা মডেলের পারফরমেন্সকে প্রভাবিত করতে পারে।
- টেকনিক:
- আউটলায়ার শনাক্ত করা: IQR (Interquartile Range), Z-score, এবং ভিজ্যুয়ালাইজেশন (বক্সপ্লট, হিস্টোগ্রাম) এর মাধ্যমে আউটলায়ার শনাক্ত করা যায়।
- আউটলায়ার মুছে ফেলা বা রিকোডিং করা: আউটলায়ার সরিয়ে ফেলা অথবা প্রয়োজনীয় রেঞ্জে আনতে মান পরিবর্তন করা যায়।
- ক্লিপিং টেকনিক: আউটলায়ার ভ্যালু এক নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে ক্লিপ করা।
৩. ডুপ্লিকেট মান সরানো
- অর্থ: অনেক সময় ডেটাসেটে ডুপ্লিকেট মান থাকে, যা ডেটার মানকে প্রভাবিত করতে পারে।
- টেকনিক:
- ডুপ্লিকেট রো শনাক্ত করা: ডুপ্লিকেট রো শনাক্ত করতে প্যান্ডাস লাইব্রেরির
drop_duplicates()ফাংশন ব্যবহার করা যায়। - ডুপ্লিকেট সরানো: ডেটাসেট থেকে ডুপ্লিকেট রো সরিয়ে ফেলা।
- ডুপ্লিকেট রো শনাক্ত করা: ডুপ্লিকেট রো শনাক্ত করতে প্যান্ডাস লাইব্রেরির
৪. ডেটার স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন
- অর্থ: স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন ডেটার ইউনিট ও ফরম্যাট একরূপে আনার প্রক্রিয়া।
- টেকনিক:
- স্কেলিং এবং নরমালাইজেশন: ডেটা স্কেলিং এবং নরমালাইজেশন করে মানগুলিকে একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জে নিয়ে আসা।
- ডেট টাইপ কনভার্সন: ভিন্ন ফরম্যাটের ডেটাকে সঠিক টাইপে কনভার্ট করা, যেমন ডেটা টাইপ ঠিক করা, ক্যাটেগরিক্যাল ভেরিয়েবলকে ইন্টিজার বা ওয়ান-হট এনকোড করা।
৫. ফরম্যাটিং এবং স্ট্রাকচারিং
- অর্থ: ডেটাকে একটি সুনির্দিষ্ট ফরম্যাট এবং স্ট্রাকচারে সাজানো।
- টেকনিক:
- ক্যাটেগরিক্যাল ভেরিয়েবল এনকোডিং: ক্যাটেগরিক্যাল ভেরিয়েবলগুলোকে ওয়ান-হট এনকোডিং, লেবেল এনকোডিং-এর মাধ্যমে সংখ্যায় রূপান্তর করা।
- ডেট ফরম্যাট ঠিক করা: টাইম-স্ট্যাম্প বা ডেট ফরম্যাট ঠিক করা, যাতে এটি মডেল বা বিশ্লেষণে উপযোগী হয়।
৬. ফিচার ইঞ্জিনিয়ারিং
- অর্থ: ডেটাসেটে নতুন ফিচার তৈরি বা বিদ্যমান ফিচার পরিবর্তন করে উপযোগী করে তোলা।
- টেকনিক:
- বৈশিষ্ট্য সিলেকশন: প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্য নির্বাচন এবং অপ্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্য বাদ দেওয়া।
- নতুন বৈশিষ্ট্য তৈরি: বিদ্যমান বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে নতুন বৈশিষ্ট্য তৈরি করা, যা মডেলের পারফরম্যান্স বাড়াতে সহায়ক।
Agile Data Science এ প্রতিটি স্প্রিন্টে ডেটা পরিচ্ছন্নতা প্রক্রিয়া
Agile পদ্ধতিতে প্রতিটি স্প্রিন্টে ডেটা পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করার জন্য কিছু ধাপ অনুসরণ করা হয়:
১. প্রাথমিক ডেটা ক্লিনিং:
- প্রথম স্প্রিন্টে ডেটার গুণগত মান যাচাই এবং প্রাথমিক ক্লিনিং করা হয়।
২. ফিডব্যাক ভিত্তিক ক্লিনিং:
- প্রতিটি স্প্রিন্টে ব্যবহারকারীর ফিডব্যাক অনুযায়ী ডেটার গুণগত মান পুনর্বিবেচনা করা এবং প্রয়োজনীয় পরিমার্জন করা হয়।
৩. ইন্টারেক্টিভ ডেটা ক্লিনিং:
- প্রতিটি স্প্রিন্টে ক্লিনিং টাস্ক পুনরায় মূল্যায়ন করা হয় এবং পরবর্তী স্প্রিন্টে নতুন ডেটা ক্লিনিং চালানো হয়।
উপসংহার
Agile Data Science এ ডেটার গুণগত মান এবং পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি স্প্রিন্টে ডেটার গুণগত মান যাচাই এবং পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে একটি সঠিক এবং নির্ভুল মডেল তৈরি করা সম্ভব হয়, যা প্রজেক্টের সফলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
Read more